বিসিএস (প্রশাসন) ১৯৮২ ব্যাচ -এর পূর্ণর্মিলনী

received_2593668554127389.jpeg

মো:মিজানুর রহমান,স্টাফ রিপোর্টার:-

২৪/২/২০২৪ রোজ শনিবার বিকাল ৪ ঘটিকায় টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরে ধল্যা আয়েশা রাজিয়া খোন্দকার স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিসিএস১৯৮২ব্যাচ এর পূণর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ফার্স্ট লেডি ড. রেবেকা সুলতানা। তিনি মহামান্য রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী ও বটে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কায়ছারুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক টাঙ্গাইল। ওলীউজ্জামান এডিশনাল জেলা প্রশাসক (সার্বিক) টাঙ্গাইল।শাকিলা বিনতে মতিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মির্জাপুর, টাঙ্গাইল। মোঃ মাসুদুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মির্জাপুর টাঙ্গাইল। মোঃ রেজাউল করিম অফিসার ইনচার্জ মির্জাপুর থানা।
এছাড়া আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকর্তা, সদস্যবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি প্রথম থেকে শেষ সময় পর্যন্ত উপস্থাপনা করেন কবি আসাদুজ্জামান বাবুল তার সুযোগ্য বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কন্যা শীতল।
উপস্থিত সকলে অপেক্ষার প্রহর গুন ছিল, ঠিক এমনই সময় তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাঝে প্রধান অতিথি এসে উপস্থিত হন।

প্রধান অতিথি তাঁর স্বাগত ভাষণে বলেন, আমার ব্যাচমেট ড.শওকত হোসেন (সাবেক সচিব) এর আমন্ত্রণে এমন একটি সুন্দর অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত, আবেগ আপ্লুত। বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ডিসপ্লে দেখে আমি খুবই বিমোহিত হয়ে পড়েছি। আমি এদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি। পরে তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আনা চকোলেট ও অনুদানের চেক প্রদান করেন।
পরে তিনি কলেজের নবনির্মিত শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন।
ড. খোন্দকার শওকত হোসেন প্রধান অতিথিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এখানে স্কুল করার কোন পরিকল্পনাই আমার ছিল না। কিন্তু এ অঞ্চলের ছেলেমেয়েরা পঞ্চম শ্রেণী পাস করার পর পড়াশোনা ছেড়ে দিত, মেয়েদের বাল্যবিবাহ হতো আর ছেলেদের অনেকেই বিপথগামী হয়ে পড়তো। এদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নেয়ার চিন্তা চেতনা থেকেই আমি এই কলেজটি প্রতিষ্ঠিত করেছি। এখন ছেলেমেয়েরা এখান থেকেই উচ্চ মাধ্যমিক পাস করতে পারে। পরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ পায়। এদের নিয়ে আমি এখন গর্ববোধ করি। আমার এলাকার ছেলেমেয়েরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে এটা আমার অহংকার।
অনুষ্ঠানটি একসময় ভি ভিআইপিদের মিলন মেলায় পরিণত হয়।
অনুষ্ঠানের শেষাংশে আগত অতিথিদের মাঝে ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইলের চমচম ও পিঠা পরিবেশন করা হয়।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top