বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতার। চেম্বার আদালতে উচ্চ আদালতের পূর্বের আদেশ ‘স্থগিতাদেশ’ ও ‘স্থিতাবস্থা’ অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। নির্বাচনী আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তের বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টে বিচারাধীন রুল নিষ্পত্তি পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখতে বলা হয়েছে। সোমবার হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে নিপুণ আক্তারের লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
সাধারণ অনেক মানুষই আইনের এসব ভাষা বুঝতে পারছেন না। এই আদেশ সম্পর্কে জায়েদ খান কী বুঝেছেন? মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আদালত যে আদেশ দিয়েছেন তা আমার জন্য খুবই ইতিবাচক। আমার মনে হয়েছে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পাবে এতে করে। হয়তো কয়েকটা দিন লেগে যাবে। মঙ্গলবার শুনানি হবে, এ রকম আরো কয়েকটা শুনানির পর হাইকোর্ট বিষয়টিকে নিষ্পত্তি করে দেবে। এ সময় পর্যন্ত কেউ শিল্পী সমিতির চেয়ারে বসতে পারবে না। স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে। ’
জায়েদ খান কেন এ আদেশকে ইতিবাচক দেখছেন? এর কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আদালত চাইলে তো নিপুণকে চেয়ারে বসতে দিতে পারতেন, দেননি। ওরা আবেদন করেছিল, সেটা নাকচ হয়েছে। এখন নির্বাচনী আপিল বোর্ড বৈধ কি না এটা আদালত দেখবেন। তফসিল অনুযায়ী আপিল বোর্ড অবৈধ। আর এই আপিল বোর্ড তো প্রার্থিতা বাতিল কোনোভাবেই করতে পারে না। তারা আপিল শুনবে। নিপুণের আপিল শুনে তারা ভোট পুনর্গণনা করে হেরে গেছেন। সেখানে স্বাক্ষর করে চলে গেছেন। এখানে তো আপিল বোর্ডের কোনো কাজ নেই আর। ’
নির্বাচনী আপিল বোর্ড প্রসঙ্গে জায়েদ খান আরো বলেন, ‘আপিল বোর্ডকে দিয়ে নিপুণ জোর করে চেয়ার দখল করেছেন, এটা আদালতে প্রমাণিত হয়ে যাবে। আমি আমার চেয়ার ফিরে পাব। ’