মো. জহিরুল ইসলাম:
গত দুই দশকে এ দেশের ছোটো বড় প্রায় সব নদী, খাল, বিল, হাওড়, জলাশয় স্বদেশের শিল্পমালিক দস্যুরা দখল করে অনেকাংশে ভরাট করে ফেলেছে।
আওয়ামী সরকারের পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রীর গুয়ার্তুমি ও দেশদ্রোহী সিদ্ধান্তে ভারত সরকার উজানে কৃত্রিম ড্যাম/ বাঁধ তৈরি করে গ্রীষ্মে বাংলাদেশকে পানি সংকটে রেখে বর্ষায় ডুবিয়ে দিচ্ছে। ৷ এরজন্য যতটা না দোষী ভারত সরকার, তারচেয়ে বেশি অপরাধী নদী দখলদার দস্যুরা ও অবৈধ আওয়ামী সরকারের রাষ্ট্রবিরোধী আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।
গত কুঁড়ি বছরে পানির প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করে নদীকে সংকুচিত করে, চর জাগিয়ে ময়লা আবর্জনা দিয়ে ভাগাড়ে পরিণত করেছে। নদীসমূহকে কার্যত হত্যা করা হয়েছে নিজের ক্ষমতার মসনদটি টিকিয়ে রাখতে। শিল্প মালিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও দখল বাণিজ্যকে বৈধতা দিয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরাও সুবিধাভোগী৷ এছাড়া নদী শাসনের নামে ড্রেজিং না করে পানি উন্নয়ন বোর্ডেও দায় এড়াতে পারবে না। এ অনাচারের জন্য খেসারত হিসেবে নাকানিচুবানি খেতে হচ্ছে প্লাবিত জনগণকে।
নদী খাল বিল যদি তার নিজের নিয়মে প্রবাহিত হতো ; তাহলে নদীর নাব্যতা যেমন ঠিক থাকতে, তেমনি আকষ্মিক বন্যা থেকেও রক্ষা পেত দেশ। নদীর ভাটিতে চর জাগলে তাকে যথাযথ নিয়ম মেনে শাসন করলে পানিপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হতো না৷ নদীর সাথে সংযুক্ত খালসমূহের প্রবাহ ঠিক থাকলে বন্যা পরবর্তী সময়ে দ্রুত সময়ে পানি নিষ্কাশন হতো।
এখন সময় এসেছে প্রকৃতির সাথে বিরুদ্ধাচারণ না করে পরিবেশবান্ধব টেকশই উন্নয়নের। সব দখলদার দস্যুদের শাস্তির আওতায় এনে নদী-খাল বিল হাওড়কে দখলমুক্ত করে প্রকৃতিকে বাঁচতে দিলে বাঁচবে দেশ, বাঁচবে দেশের মানুষ।