গজারিয়া প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জে গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের চর বাউশিয়া বড় কান্দী,বক্তার কান্দী ও টেকপাড়া গ্রামের ফসলের মাঠে প্রায় একশত বিঘা জমির পাকা আমন ধান বর্ষা ও বৃষ্টির পানিতে ডুবে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছিল কিন্তু অবশেষে কৃষকের দুশ্চিন্তা কেটে গেছে হাসি মুখে পাকা আমন ধান ঘরে তুলেছে স্থানীয় কৃষক।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,বাউশিয়া ইউনিয়নের ওই তিন গ্রামের ফসলের মাঠে এখন আর কোন পানি নেই,বেশীর ভাগ জমি রবিশস্যের জন্য প্রস্তত করছে কৃষক।মাঠে কর্মরত কৃষকরা জানান,গত ১৫ বছর যাবত এই জমি গুলোতে বর্ষার পানি আটকে থাকে,যে কারণে এই সময়টায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়,শুকাতে শুকাতে পৌষ মাস এসে যায়।
এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষক হালিম মিয়া বলেন,স্থানীয় একটি কোম্পানি তার জায়গা ড্রেজার দিয়ে বালু ভরাটের ফলে নিষ্কাশিত বালি মিশ্রিত পানিতে ২০০বিঘা পাকা ধান ডুবে যাওয়ার খবর ভিত্তিহীন, এখানে বৃষ্টি ও বর্ষার পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজন ড্রেনেজ ব্যবস্থা,আশা করি সরকার এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
আরেক কৃষক মো:হাসমত আলী জানান,এই মাঠের দুই তৃতীয়াংশ জমি একাধিক কোম্পানি ক্রয় করে নিয়েছে,ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি সামান্যই রয়েছে,কোম্পানিগুলো উৎপাদনে না যাওয়ায় স্থানীয় সাধারণ কৃষক জমি গুলোতে চাষাবাদ করছে,বর্ষার পানি নিষ্কাশনের জন্য দুটো কালভার্ট ছিল যা এখন ভরাট হয়ে গেছে,এখন প্রয়োজন পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা।
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনূর আক্তার বলেন,আমরা আমাদের কালভার্ট গুলো দখল মুক্ত করবো,সেই সাথে পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হবে।