শাহিন আহমেদ :
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, কতিপয় চোরাই কাঠ ব্যবসায়ী অবৈধভাবে মিনি পিকআপযোগে চোরাই কাঠ পাচার করার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম জেলার ডবলমুরিং থানাধীন চৌমুহুনী নামক স্থানে মজুদ করেছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৪ জুন ২০২২ ইং তারিখ ০৪.৩০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ২টি মিনিট্রাক বোঝাই কাঠসহ আসামী ১। ছোটন বিশ্বাস(৩৭), পিতা-সম্ভুরাম বিশ্বাস, সাং- শালিকপাড়া, থানা-পটিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম, ২। শাহিনুর আলম(২৮), পিতাঃ-মোঃ এনাম, সাং-আমান আলী রোড, থানাঃ-বাকলিয়া, জেলাঃ-চট্টগ্রাম, ৩। মোঃ রাইয়ান (২০), পিতাঃ-ফজলুর রহমান, সাং-চর খলিফা, থানাঃ- দৌলতখান, জেলাঃ-ভোলা, ৪। মোঃ রুবেল(২৪), পিতা-আবুল হোসেন, সাং-বৈকন্ঠপুর, থানা-দৌলতখান, জেলা-ভোলা, ৫। নুর হোসেন(১৯), পিতা-নূর সোলেমান, চর খলিফা, থানাঃ- দৌলতখান, জেলাঃ-ভোলা, ৬। বুলু বিশ্বাস(৫০), পিতা-মৃত সোনা বিশ্বাস, সাং-পাথরঘাটা, থানা-কোতয়ালী, জেলা-চট্টগ্রাম, ৭। বেলাল আহমদ(৫৫), পিতা-মৃত হাজী শের মোহাম্মদ, সাং-ফিরিঙ্গিবাজার, থানা-কোতয়ালী, জেলা-চট্টগ্রাম এবং ৮। আব্দুল জব্বার(৪৫), পিতা-মান্নান মাঝি, সাং-মগদারা, থানা-সন্দীপ, জেলা-চট্টগ্রামকে আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে তাদের হেফাজতে থাকা মিনি পিকআপে মোট ৩০০ ঘনফুট চোরাই সেগুন, রদ্দা, চিড়াই, এবং গামারী কাঠ উদ্ধারসহ আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারী বনবিভাগের এসব উন্নত মানের কাঠ চোরাইভাবে সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাত করে বিক্রয় করে আসছে। উদ্ধারকৃত চোরাই কাঠের আনুমানিক মূল্য ৭ লক্ষ টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত চোরাই কাঠ সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের নিমিত্তে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ এর নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।