মোঃ জুয়েল রানা, তিতাসঃ
টানা বর্ষণ আর পাহাড়ী ঢলে কুমিল্লার গোমতী নদীর পানী বৃদ্ধি পাওয়ায় তিতাস উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়নের বেরিবাঁধ এলাকার কয়েকটি গ্রামের ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট, মাছের ঘেরসহ তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। এতে করে কয়েকটি সংযোগ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় শতাধিক পরিবার।
বুধবার (২২ জুন) সকালে ঐসব এলাকা পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম মোর্শেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মোজাম্মেল হক, উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ, ৫নং কলাকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইব্রাহিম সরকার, ইউপি সদস্য ডালিম ও মিজানসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভারত থেকে নেমে আসা পাহারী ঢলে তিতাস উপজেলা দিয়ে ভয়ে যাওয়ায় গোমতী নদীর পানি বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ মানিকনগর, উত্তর মানিকনগর ও আফজালকান্দি গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এবং নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে হুমকির মুখে রয়েছে উপজেলা রক্ষার জন্য নির্মিত বেরিবাধঁ।
এছাড়াও হঠাৎ পানি বৃদ্ধির ফলে বেরীবাধঁ এলাকার প্রায় ১৫ হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে দিশেহারা কৃষকরা।
কলাকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম সরকার বলেন, হঠাৎ করেই গোমতীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমার ইউনিয়নের ৩-৪টি গ্রামের রাস্তাঘাট ও ফসিল জমিসহ ঘর-বাড়ি তলিয়ে গেছে। বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় অনেকেই সমস্যার মধ্যে রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। স্যার এসে পরিদর্শন করে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম মোর্শেদ বুধবার সকালে ক্ষতিগ্রস্তএলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সাথে কথা বলে তাদেরকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন এবং সে সকল রাস্তাঘাট ভাঙ্গন দেখা দিছে তা দ্রুত মেরামত করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন। এছাড়াও বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জরুরী সেবা পৌছে দিতে উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছেন বলে ইউএনও জানান।