মো:ফিরোজ,বাউফল প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে এলজিইডির তত্ত¡াবাধনে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কাপের্টিং সড়কের দুই মাস না যেতেই ধস নেমেছে। এতে বন্ধ হয়ে পড়েছে যান চালাচল। বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়রা। এমন চিত্র উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের শৌলা বেইলি ব্রিজ হতে উত্তর শৌলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভায়া পন্ডিত বাড়ি কাপের্টিং সড়কে।
নির্মিত সড়ক সংক্রান্ত তথ্যের জন্য উপজেলা এলজিইডি অফিসে যোগাযোগ করা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের তথ্য দেয়নি। খোঁজ মেলেনি নির্মাণ কাজের তদারকি কর্মকর্তারও। তবে নির্ভরযোগ্য সূত্রের দেওয়া তথ্য মতে, ২০২০-২১ অর্থ বছরে পটুয়াখালীর মের্সাস সেলিম স্টোর নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সড়ক নির্মাণের কার্যাদেশ পায়। প্রায় ২কিলোমিটার কাপেটিং সড়ক নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় আড়াই কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, কালাইয়া – দশমিনা সড়কের শৌলা বেইলি ব্রিজ হতে উত্তর শৌলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত কাপেটিং সড়কের নির্মাণ কাজ শেষে হয়েছে মাত্র দুই মাস আগে। নির্মিত সড়কের পঞ্চায়েত বাড়ির সামনে প্রায় তিন মিটার জুড়ে ধস নেমেছে। এতে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। রাতের আঁধারে ঘটছে দুঘর্টনা। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে স্থানীয়রা লাল কাপড় টানিয়ে দিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সড়ক নির্মাণ কাজের শুরুতে নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে সড়ক নির্মাণ করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন। একাধিক বার তাদের বলা হলেও বিষয়টি আমলে নেওয়া হয়নি। নির্মাণ কাজে অনিয়ম হওয়ার কারনেই সড়কটিতে ধস নেমেছে বলে দাবি করেন স্থানীয়রা।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. আলতাফ হোসেন বলেন,‘ সড়ক নির্মাণ কাজের গুণগত মান খারাপ হওয়ার কারনে দুই মাস না যেতে ধস নেমছে। বিষয়টি ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে একাধিকবার অবহিত করা হলেও তারা কর্ণপাত করেনি।
এবিষয়ে মের্সাস সেলিম স্টোরের সত্বাধিকারী মো. সেলিম ওরফে মুদ্দার সেলিম বলেন,‘ সড়ক ধসে পড়লে ঠিকাদারের কি দোষ?
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. সুলতান হোসেন বলেন,‘ ঠিকাদারের সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।