জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্সি দিতে এসে আটক ঢাবি শিক্ষার্থী

received_3119530691618642.jpeg

মিলন হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ঃ

২২ টি সাধারণ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের (বি – ইউনিটের) ভর্তি পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রক্সি দিতে এসে আটক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী।

(শনিবার) দুপুরে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ অনুষদের একটি কক্ষে এ ঘটনা ঘটেছে।

পরীক্ষা শেষ হলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য আটক করে ডক্টর অফিসে নিয়ে আসেন। এরপর তার প্রবেশপত্রের সাথে তার চেহারার মিল না পাওয়ায় তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন, ঘড়ি, মানিব্যাগসহ একটি ব্যাংকের এটিএম কার্ড জব্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

প্রক্সি দিতে এসে ওই শিক্ষার্থীর নাম সুমন। তার মোবাইল ফোনে থাকা একাধিক ব্যক্তির সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, সুমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জসিম উদ্দিন হলের আবাসিক ছাত্র। সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন।

সুমন গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগে সেজান মাহফুজের নামের এক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে আসে। সেজান মাহফুজের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় রোল ৩০৯৯৭৬ এবং প্রবেশপত্রে সেজান মাহফুজের পিতা আব্দুল বারী ও মাতা মাহফুজা বেগমের নাম লেখা আছে। তিনি সেন্ট জোসেফ স্কুল এ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন।

যদিও প্রক্সি দিতে আসা সুমন দাবি করেন, তিনি নিজেই সেজান মাহফুজ। তিনি ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজে পড়াশোনা করেন এবং সেখান থেকে পরীক্ষা দিতে এসেছেন। পরবর্তী সময়ে তোপের মুখে পড়ে সুমন বলেন, সেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তার ডাক নাম সুমন।

এসময় তার সঙ্গে থাকা মানিব্যাগে নগদ ১৭৬০ টাকা এবং ব্যাংক একাউন্টে ২৬ লক্ষ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়াও তার নিকট বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার একাধিক তথ্য – প্রমাণসহ একজন সাংবাদিকের ব্যক্তিগত কার্ড পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে প্রবেশপত্রের সাথে তার চেহারার মিল না পাওয়ায় তাকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে পুলিশের নিকট তাকে আমরা সোপার্দ করেছি। পুলিশ সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে পুরো সিন্ডিকেটের তথ্য আমাদের সামনে তুলে আনবে এবং সঠিক বিচারের মাধ্যমে ভবিষ্যতে যেন এমন কাজ না করতে পারে তার জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবে।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top