মতিউর রহমান তালুকদার,পটুয়াখালী জেলা দক্ষিণ প্রতিনিধি::-
পটুয়াখালীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও কর্মকর্তাদের টাকা দিয়ে মাছ শিকার চলে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে সাগরে চাঁদা দিয়ে মাছ ধরছেন জেলেরা। কুয়াকাটার ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতে অন্তত দুই শতাধিক ছোট-বড় ট্রলার সাগরে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে মাছ শিকার করছে। একটি ব্যবসায়ী চক্র জেলেদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলে চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ তাদের। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেশির ভাগ সময় জেলেরা রাতের আঁধারে নদীতে মাছ শিকার করেন। যখন অভিযান পরিচালনা করা হয় তখন জেলেদেরকে আগ থেকেই বলে দেওয়া হয় কোন এলাকায় এখন অভিযান পরিচালনা করা হবে। ঠিক সেই অনুযায়ী জেলেরা পালিয়ে থাকে। মোস্তফা খান নামের এক জেলে বলেন, আমরা সাগরে যাবার আগে আমাদের আরোতদারদের টাকা দিয়ে যাই। তারা মৎস্য কর্মকর্তাদের টাকা দেয় । আমরা সাগরে নিরাপদে মাছ ধরতে যাই। কুয়াকাটা এলাকার জেলে আবু বকর খুটা জাল দিয়ে সাগরে মাছ ধরেন। সাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মহাজনের তাগাদা আর ধারের টাকা পরিশোধের জন্য এ কাজ করছেন তিনি। বাউফল উপজেলার নদী বেষ্টিত ধুলিয়া, চন্দ্রদ্বীপ, কেশবপুর, নাজিরপুর ও কালাইয়া এই ৫ ইউনিয়নে মোট ৬ হাজার জেলে রয়েছেন। তারা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে প্রত্যেক জেলেকে সরকারি চাল দেওয়া হলেও তারা নদীতে মাছ শিকার করছেন।
নামপ্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েক জেলে জানান, তারা মহাজনদের কাছ থেকে দাদন নিয়ে জাল ও নৌকা ক্রয় করেছেন। প্রত্যেক সপ্তাহে তাদের কিস্তির টাকা দিতে হয়। তাই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তারা নদীতে মাছ শিকারে যান। এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহাবুব আলম বলেন, টুয়েন্টি পারসেন্ট জেলে মাছ শিকার করতে পারে। আমরা তাদের নিবৃত্ত করতে প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করছি। এ পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার মিটার জাল আটকের পর পুড়িয়ে দিয়েছি। ৫ জনকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত জেল দিয়েছেন। নদীতে মা ইলিশ শিকারের কথাটি সঠিক নয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বশির গাজী বলেন, আমরা অভিযান আরও জোরালো করবো। জেলা থেকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এনেছি। আশা করছি, অভিযান আগের চেয়ে কঠোর হবে।