সোনারগাঁয়ে আমান গ্রুপ এর শব্দ ও বায়ূ দুষণের প্রতিবাদে ৮ গ্রামের বাসিন্দাদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল।

received_693558576036311.jpeg

মোঃ জি,কে,শিকদার,স্টাফ রিপোর্টারঃ
(৩১/১০/২০২৩) সোনারগাঁও বৈদ্যের বাজার আমার গ্রুপ এর দাঁড়ায় অতিষ্ঠ স্থানীয় বাসিন্দারা শব্দ ও বায়ু দূষণ থেকে রক্ষা পেতে, শিশু শিক্ষার্থীরা সহ নারী পুরুষরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার হাড়িয়া চক্রবর্তী পাড়া এলাকায় আমান সিমেন্ট কারখানার প্রধান ফটকের সামনে ৫’শতাধিক নারী-পুরুষ “আমরা দূষণ মুক্ত পরিবেশ চাই, আমরা সুস্থ পরিবেশে বাচঁতে চাই” এমন প্লেকার্ড হাতে নিয়ে শব্দদূষণ ও বায়ু দূষণ থেকে রক্ষা পেতে আমান সিমেন্ট নামে একটি কারখানার বিরুদ্ধে আবারো মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে।বারবার মানববন্ধনে করেও শব্দ দূষণ ও বায়ূ দূষণের কোনো প্রতিকার না পেয়ে আবারও উপজেলার ৮ গ্রামের বাসিন্দরা মানববন্ধনে অংশ নেন।

এতে মোগরাপাড়া-আনন্দবাজার বারদী সড়কে যান চলাচল ২ ঘন্টা বন্ধ হয়ে যায় ও দীর্ঘ জানযটের সৃষ্টি হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া একাদশ শ্রেনির শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা ইভা বলেন, আমরা পড়াশুনা করব কিভাবে ঘরের ভিতরে ভুকম্পন, ঘরের বাহিরে বায়ু ও শব্দ দুষণ অতিমাত্রায়। শব্দের কারণে এর মধ্যে কানের চিকিৎসক দেখিয়েছি। সুস্থ ভাবে বেচেঁ থাকাই আমাদের প্রত্যাশা।

স্থানীয় বাসিন্দা মজিবুর রহমান বলেন, কোম্পানীর শব্দ ও বায়ূ দুষণের হাত থেকে বাচঁতে এ নিয়ে কয়েকবার মানববন্ধন করেছি। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পরিবেশ অধিদপ্তর সহ সকল দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছিনা। বরং ওই কোম্পানী এখন তাদের শব্দ দূষণের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কোম্পানীর শব্দদূষনের কারনে কারখানার আশপাশের বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। অতিরিক্ত বায়ূ দূষণের কারনে শ্বাস নেওয়া যায়না। শব্দ দূষণের কারনে তাদের সন্তানরা পড়াশুনা করতে পারছেনা। এবিষয়ে কোম্পানীর কর্মকর্তাদের কাছে ধরনা দিয়ে কোনো সুরাহা হয়নি। দূষণ থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান তাঁরা।
ওই এলাকার স্থানীয় এক নারী বলেন, আবাসিক এলাকায় ৪৫ থেকে ৫৫ ডেসিবল শব্দ থাকার কথা। কিন্তু আমরা মেশিনের মাধ্যমে মেপে দেখি এখানে ১৬০ ডেসিবল শব্দ রয়েছে, যা অতিমাত্রার শব্দ দুষণ। আমরা আমাদের পরিবার নিয়ে সুস্থভাবে বাচঁতে চাই।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) রেজওয়ান উল ইসলাম বলেন, বিষয়টির তদন্ত করার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভাগীয় ও জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর এ বিষয়টির তদন্ত করেছে।
জানা যায়, ২০১৭ সালের মে মাসে বছরে ৩৫ লাখ টন উৎপাদনক্ষমতা নিয়ে আমান সিমেন্ট মিলস ইউনিট-২ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বৈদ্দ্যের বাজার ইউনিয়নের হাড়িয়া চক্রবর্তী পাড়ায় গড়ে ওঠে। প্রতিষ্ঠানটি গড়ে ওঠার পর থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা দূষণের কবলে পড়ে প্রতিবাদ করতে থাকে।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top