ঘাটাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমানুর রহমান রানা অফিস ভাঙচুর ও হামলা আহত ৫

received_2162210697460134.jpeg

মোঃ সোহেল রানা:-

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দর পর ওই রাতেই টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানার (ঈগল প্রতীক) নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর।।
ও কয়েক সমর্থককে পিটিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অফিস কক্ষের ভেতরে ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে ঈগল প্রতীকের পোস্টার ব্যানার ও ভেঙে ফেলা হয়েছে চেয়ার টেবিল ও তাদের লাগানো ছবি।।
সোমবার ১৮ ডিসেম্বর রাত সাতটার দিকে উপজেলার সংগ্রামপুর ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়ে ঘাটাইল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আমানুর সমর্থক ৫ জন।।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আমানুরের কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ– সোমবার ১৮ ডিসেম্বর রাত ৭টার দিকে উপজেলার সংগ্রামপুর ইউনিয়নের দেওজানা বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমানুরের নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর চালায়।।
নৌকা সমর্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম ও জামুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হেস্টিংসের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক কর্মী নিয়ে এ হামলা চালিয়েছেন বলে তাদের অভিযোগ।।
খবর পেয়ে সোমবার রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু ছালাম মিয়া ভাঙচুর করা নির্বাচনী অফিস পরিদর্শন করেছেন।।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আমানুরের সমর্থক ৫ জনকে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।।
আহতরা হলেন– দেউজানা এলাকার মৃত আজমত আলীর ছেলে মুক্তার, মো. মেসের আলীর ছেলে মো. ইসহাক ও একই এলাকার মো. জলিলের ছেলে ফরহাদ সহ আরও দুইব্যক্তি।তাদের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিক পাওয়া যায় নি।।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেল যোগে ৩০ থেকে ৩৫ জন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী দেওজানা বাজারে এসে অতর্কিতভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমানুর রহমান খান রানার নির্বাচনী অফিসে হামলা চালায়। এ সময় তারা কার্যালয়ের  চেয়ার, টেবিলসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম ভাঙচুর করে দ্রুত ঘটনা স্থান ত্যাগ করেন।।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক আসিফ সিদ্দিকী অভিযোগ করে বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেল যোগে লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নৌকা সমর্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম মিয়া ও জামুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হেস্টিংসের নেতৃত্বে দেউজানা বাজারে আমাদের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেছে। নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর লোকজন এটা করেছে বলে তার অভিযোগ।।
তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি, সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলেও তিনি সে কথা জানান।।
এ বিষয়ে জামুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হেস্টিংস সংগ্রামপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমানুরের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় নেতৃত্ব দেয়ার কথা অস্বীকার করে জানান।
সংঘর্ষের সময় আমি আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডাঃ কামরুল হাসান খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম লেবু সহ আমরা প্রায় সকল নেতৃবৃন্দ জামুরিয়া ইউনিয়নের শংকরপুরে ডুইলাবাড়ী এলাকায় একটি নির্বাচনী সমাবেশে উপস্থিত ছিলাম।।
এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের নেতাকর্মীরা ও আমার সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নস্যাৎ এবং নৌকার বিজয় ঠেকাতে বহুমুখী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এসব ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে জামুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হেস্টিংস সে সময় মন্তব্য করেন।।
এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার এসআই মো. রাজু আহমেদ জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন।।
সেখানে অফিসে থাকা লোকজন বলছেন, কে বা কারা অতর্কিতভাবে মোটরসাইকেলে হামলা চালায়। তবে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত দোষী‌দের খুঁজে আইনের আওতায় আনা হবে
বলে এই কথা জানিয়েছেন।।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু ছালাম মিয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।।
এ ঘটনায় দুর্বৃত্তরা দ্রুত এসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। যার কারণে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছেন । অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি এই কথা ও জানান।।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top