কুমিল্লা প্রতিনিধি:-
কুমিল্লার মুরাদনগরে সার্বিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও নৌকা প্রতিকের প্রার্থী বর্তমান এমপি এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুনকে আবারো চায় মুরাদনগর বাসী। নির্বাচনী হাওয়ায় এমন আভাসই ভয়ে বেড়াচ্ছে মুরাদনগরজুড়ে। এবার নির্বাচনে পাশ করলেই ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এ আসন থেকে হ্যাট্রিক করবেন। মুরাদনগরবাসীর মতে, টানা দুইবার নির্বাচিত হওয়ার পর অবকাঠামো থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নে ব্যাপক আমূল পরিবর্তন করেছেন তিনি। আগামীতে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে নৌকাকে জয়ের বিকল্প নেই বলে মনে করেন মুরাদনগরবাসী।
২০১৪ সালে স্বতন্ত্র থেকে এ আসনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন। পরে ২০১৮সালে নৌকা প্রতিকে এ আসনে নির্বাচন করে পুনরায় জয়লাভ করেন। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনেও নৌকা প্রতিকে লড়ছেন তিনি। নেতাকর্মীদের সমর্থন ও বিগত দিনের তুলনায় গত ১০বছরে এলাকার ব্যপক উন্নয়ন হওয়াতে তৃনমূলসহ ভোটারদের আস্থা ও পছন্দের তালিকায় প্রথমে আছেন এ নেতা। তাই ইউসুফ আব্দুল্লা হারুনকে জয়ী করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নেতাকর্মিরা একাট্টা হয়ে ব্যপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
মুুরাদনগরে চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ভোটারসহ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ চান মুরাদনগর উন্নয়নে প্রক্রিয়াধীন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে এবারো ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুনকে।
উল্লেখ্য. এ আসন থেকে এবার নৌকার প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন ১০ জন প্রার্থী। তারা হলেন জাতীয় পার্টি থেকে মো: আলমগীর হোসেন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ থেকে ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে বসির আহম্মদ, জাকের পার্টি থেকে বেনজির আলম অনন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন থেকে মনিরুজ্জামান, গণফ্রন্ট থেকে মোহাম্মদ শরিফুল আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে মো: আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট থেকে মো: বাছির মিয়া, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ থেকে মো: সাজ্জাদুল হোসাইন। এরমধ্যে হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি ঈগল প্রতিকের জাহাঙ্গীর আলম সরকার।
ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন (এফসিএ) বলেন, মুরাদনগর আ’লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন নৌকাকে বিজয়ী করতে আমরা একযোগে কাজ করছি। ইতিমধ্যে আমরা সকল ভোটকেন্দ্রের কমিটি সম্পূর্ন করে ফেলেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সারা দিয়ে নৌকার নেতাকর্মীরা একতাবদ্ধ। সাবেক জেলা আ’লীগের এক নেতা স্বতন্ত্র থেকে ঈগল প্রতিকে নির্বাচন করছেন। তিনি বিএনপির নেতাকর্মীর সাথে আতাত করার খবর পাওয়া যাচ্ছে। যেকোনো সময় ওই স্বতন্ত্র প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘঠাতে ও উত্তাপ ছড়াতে পারে। এমনেতে আমার মাঠের অবস্থা বেশ ভালো আছে। আশা করছি এ আসন বিগত দিনের মতো এবারো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে পারব।