মোঃ নুর নবী চৌধুরী (সম্রাট),নোয়াখালী প্রতিনিধি:-
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের ৩০০ আসনের মধ্যে অ্যনতম নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ।
কারণ,এখানে হেভিওয়েট প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তিনবারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি।
নোয়াখালী-৫ নির্বাচনী এলাকা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও কবিরহাটে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।৭ জানুয়ারি ২০২৪ সারাদিন ভোট গ্রহণ শেষে ভোট গণনা শুরু হয়,ভোট গননা শেষে দেখা যায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওবায়দুল কাদেরের জয়জয়কার ।
সকাল ৮ টায় ভোট শুরু হয় বিকেল ৪ টা পর্যন্ত প্রত্যেকটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনা শেষে ১৩২টি কেন্দ্রে বেসরকারি ফলাফলে বিপুল ভোটে এগিয়ে আছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৮১ হাজার ২৭৯ ভোট।
এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৪ হাজার ৯ শত ৭৭ জন।
পুরুষ ভোটের সংখ্যা ২ লাখ ৯ হাজার ৬ শত ৯৩ জন।
নারী ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৯৫ হাজার ২ শত ৮৪ জন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মনোনীত ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন মাত্র ৯ হাজার ৭০২ ভোট।
এই ভোটের বিশাল ব্যবধানে বিজয়ী ওবায়দুল কাদের।
এর আগে এই আসন থেকে ৭ বার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ওবায়দুল কাদের।
এবার সহ বিজয়ী হলেন ৫ বার।
১৯৯৬ সালে প্রথম ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এর সাথে জয়লাভ করে ওবায়দুল কাদের, সে বারই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা তাকে যুব ক্রীড়া ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এর প্রতি মন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
তিনি সেখানে অনেকটা সফল হয়েছিলেন, পরবর্তীতে ২০০১ সালে আবারো তিনি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের কাছে হেরে যান। এরপর আর তাকে পিছে তাকাতে হয়নি।
একটানা এবার নিয়ে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ওবায়দুল কাদের।
অন্যন্য প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের মশাল প্রতীক নিয়ে মোহাম্মদ মকছুদের রহমান পেয়েছেন ২ হাজার ১৩২ ভোট।
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের (আইএফবি) এর চেয়ার প্রতীক নিয়ে মোহাম্মদ শামছুদ্দোহা পেয়েছেন ১ হাজার ৪৯৩ ভোট।বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট এর ছড়ি প্রতীক নিয়ে শাকিল মাহমুদ চৌধুরী পেয়েছেন ২ হাজার ১৩২ ভোট।
পূর্বের মতো এবারও ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বহুল আলোচিত বসুরহাট পৌরসভার বারবার নির্বাচিত সফল মেয়র ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল কাদের মির্জা ওরফে (কাদের মির্জা) এবং কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল সহ বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন সহ তার নেতা কর্মীদের নিয়ে সুপারম্যানের মতো কোম্পানীগঞ্জের প্রত্যেকটা ভোটারের দুয়ারে পৌঁছেছেন।
এমন কি নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্ত হতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়া পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা কিংবা দাঙ্গা হাঙ্গামা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ছাড়াই সফল ভাবে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিয়েছেন।আর এই নির্বাচন কে কোম্পানিগঞ্জ বাসি সাধুবাদ জানিয়েছেন।