মার্স রোভারের যাত্রা রাশিয়ার আগ্রাসনে আটকে গেল

rover-1-3-22-dp.jpg

তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক : মার্স রোভারের যাত্রা রাশিয়ার আগ্রাসনে আটকে গেল। ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ‘এক্সোমার্স রোসালিন্ড ফ্র্যাঙ্কলিন’ রোভারের। ইউক্রেইনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের প্রভাব পড়েছে ‘ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ)’ এবং রাশিয়ান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘রসকসমস’-এর যৌথ প্রকল্পটিতে।

‘রেড প্ল্যানেট’ হিসেবে খ্যাত মঙ্গলে বর্তমানে রোভার আছে তিনটি। এর মধ্যে দুটি নাসার মালিকানাধীন এবং একটি চীনের। চলতি বছরে মঙ্গলের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করার কথা ছিল ইএসএ’র নতুন রোভারটির। সেপ্টেম্বরে কাজাখস্তান থেকে রাশিয়ার ‘প্রোটম-এম’ রকেটে যাত্রা শুরু করে ২০২৩ সালে মঙ্গলে পৌঁছানোর কথা ছিল ‘এক্সোমার্স রোসালিন্ড ফ্র্যাঙ্কলিন’ রোভারের।

কিন্তু ইউক্রেইনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান এবং প্রতিত্তুরে ইউরোপসহ বিশ্বের নানা দেশ থেকে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার জেরে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে সে অভিযান।

রোভারটি ‘ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ)’ এবং রাশিয়ান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘রসকসমস’-এর যৌথ প্রকল্পের অংশ ছিল বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ।

কিন্তু বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ইএসএ এক বিবৃতিতে বলছে, “এক্সোমার্স প্রকল্পের ধারাবাহিকতা প্রসঙ্গে… নিষেধাজ্ঞা এবং ব্যাপক পরিধি বিবেচনায় নিলে ২০২২ সালে উৎক্ষেপনের সম্ভাবনা খুবই কম।”

ভার্জের প্রতিবেদন বলছে, রাশিয়ার প্রতি ইএসএ’র প্রতিক্রিয়া কী হবে, সেটি নির্ধারণে আলোচনায় বসেছিল সদস্য দেশগুলো। সেই বৈঠকের পরেই বিবৃতি দিয়ে নতুন মার্স রোভার প্রকল্প বিলম্বিত হওয়ার খবর দিল ইএসএ। মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটির সদস্য দেশগুলো রাশিয়ার উপর যে নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপ করেছে তার সবগুলোই মেনে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

প্রথমে ২০২০ সালে মঙ্গল যাত্রার কথা ছিল রোভারটির। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটি আর মহমারীর কারণে পিছিয়ে গেছে উৎক্ষেপণ। আর সাম্প্রতিক রাজনৈতিক টানাপোড়েনে অনিশ্চিত হয়েছে পুরো প্রকল্প। এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের অবনতিতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ‘ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের (আইএসআইএস)’ ভবিষ্যৎ।

এ প্রসঙ্গে ইএসএ’র মহাপরিচালক সোমবার জোসেফ আশবাকার টুইট করেছেন, “ইউক্রেইনে চলতি দুঃখজনক ঘটনাগুলোর নিন্দা জানাচ্ছি আমরা। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সঙ্কট বেড়ে যুদ্ধে পরিণত হয়েছে। সদস্য দেশগুলোর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বিবেচনায় নিয়ে ইএসএ-তে এখন অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে আমাদের।”

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top