নাগরিক কমিটির ধর্মঘট স্থগিত, ৪ দিন পর পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদের কার্যক্রম শুরু।

Messenger_creation_1576014089660419.jpeg

স্টাফ রিপোর্টার।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের দুর্নীতিগ্রস্ত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অপসারণের দাবিতে বান্দরবান পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মজিবুরের নেতৃত্বের ‘সচেতন নাগরিক সমাজ’ অবস্থান ধর্মঘট চলেছিল। এ সময় জেলা পরিষদ কার্যালয় ও চেয়ারম্যান বাসভবন অবরুদ্ধ করে রাখে আন্দোলন কারীরা। পরে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের আশ্বস্তে চারদিন বন্ধ থাকার পর আবার বান্দরবান জেলা পরিষদ কার্যালয়ের সকল ধরনের দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করছেন।

রোজ বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকালে পরিষদে মেইন পটকে অবস্থান ধর্মঘটে পরিদর্শন করেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন। পরে তার হস্তক্ষেপে এ অবস্থান ধর্মঘটের অবসান হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (১২ আগস্ট) থেকে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের দ্রুত পরিবর্তনের দাবিতে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে বৈষম্যবিরোধী জনতা। এনিয়ে গত চারদিন ধরে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসের স্বাভাবিক কার্যক্রম সম্পন্ন করতে না পারায় স্থবির অবস্থা বিরাজ করছিল জেলার অন্যতম প্রধান এই কার্যালয়টিতে। এর আগে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে দুর্নীতিবাজ ক্য শৈ হ্লা চেয়ারম্যান ও সদস্যদের যোগসাজশে বৈষম্যমূলক নিয়োগ, অস্তিত্ব বিহীন ভুয়া প্রকল্প বানিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন দুর্নীতিতে লিপ্ত থেকে অবৈধ উপায় অবলম্বন করে যে সমস্ত অপকর্ম ও দুর্নীতি করেছে সেগুলো বৈধ করতে কয়েকদিন তিনি অফিসে না এসেও আত্মগোপন থাকা অবস্থায় সরকারি ফাইলে স্বাক্ষর করে যাচ্ছেন। এরূপ ফাইলে স্বাক্ষর করা বন্ধ ও অতিদ্রুত বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের দুর্নীতিগ্রস্ত চেয়ারম্যান ও সদস্য দ্রুত পরিবর্তন করে নতুন চেয়ারম্যান-সদস্য নিয়োগের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। পরে চারদিন পর ঘটনাস্থলে গিয়ে জেলা প্রশাসক নাগরিক সমাজের তাদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস পরিপ্রেক্ষিতে জেলা পরিষদ কার্যালয়ের তালা খুলে দেন আন্দোলনকারীরা।

এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতার প্রতি আশ্বস্ত করে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মজিবুর রহমান। তিনি বলেন, এই কয়েকদিন এখানে ব্যানার টাঙ্গিয়ে আন্দোলন করেছি এবং জেলা পরিষদের প্রবেশ পথ বন্ধ করে রেখেছি, তাছাড়া অফিসে ভিতরে সবধরনে দাপ্তরিক কার্যক্রম অচল ছিল। জেলা প্রশাসক আমাদের কর্মসূচিকে আমলে নিয়ে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে তিনি আলোচনা করেছেন। এতে আমরা মনে করি, দাবি-দাওয়া নিয়ে চারদিনে আন্দোলনে ফলপ্রসূ হয়েছে। তাই এই মুহূর্ত থেকে জেলা পরিষদে সবধরনের অফিসে কার্যক্রম খুলে দেওয়া বলে জানান এই পার্বত্য নেতা কাজি মজিবুর রহমান

ঘটনাস্থলে বিক্ষুব্ধ জনতা উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, অবস্থান ধর্মঘট বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে অবহিত করেছি এবং পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়ক উপদেষ্টা সাথেও আলোচনা হয়েছে। বিস্তারিত প্রতিবেদন পৌঁছে গেছে। এবং সেখান থেকে আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছে, এই বিষয়ে কাজ অলরেডি শুরু হয়েছে। আপনাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে ইতিমধ্যে পার্বত্য মন্ত্রণালয় অবগত আছে এবং খুব গুরুত্বের সাথে এই কাজ শুরু করছেন। অতি শীঘ্রই সমাধান হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন এই কর্মকর্তা।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top