স্পোর্টস ডেস্ক : ইউভেন্তুস ৩২ সেকেন্ডে গোল করেও জিততে পারল না। ম্যাচের ৩২ সেকেন্ডেই গোল, স্বপ্নের মতো শুরু। কিন্তু বাকি সময়ে ইউভেন্তুস পেল না আর জালের দেখা, ধরে রাখতে পারল না ব্যবধানও। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে হার এড়াল ভিয়ারিয়াল।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অভিষেকে দুসান ভ্লাহোভিচের গোল করার উপলক্ষ রাঙাতে পারল না তার সতীর্থরা। শেষ ষোলোর প্রথম লেগে মঙ্গলবার রাতে প্রতিপক্ষের মাঠে ১-১ ড্র করল ইউভেন্তুস।
গ্যালারিতে দর্শকরা নড়েচড়ে বসার আগেই এগিয়ে যায় মাস্সিমিলিয়ানো আল্লেগ্রির দল। মাঝমাঠ থেকে দানিলোর লম্বা করে বাড়ানো বল ডি-বক্সে বুক দিয়ে নামিয়ে ভ্লাহোভিচের ডান পায়ের শট দুই খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ায়। এই গোলে পরিসংখ্যানের পাতায় আসে বেশ কিছু পরিবর্তন।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অভিষেকে দ্রুততম গোলের রেকর্ড গড়লেন ভ্লাহোভিচ। আগের রেকর্ডটি ছিল সাবেক জার্মান মিডফিল্ডার আন্দ্রেয়াস মোলারের (৩৮ সেকেন্ড)।
আলেস্সান্দ্রো দেল পিয়েরোর (২০ বছর ৩০৮ দিন) পর ইউভেন্তুসের দ্বিতীয় কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অভিষেকে গোল করলেন সার্বিয়ান স্ট্রাইকার ভ্লাহোভিচ (২২ বছর ২৫ দিন)।
১৯৯৭ সালের অক্টোবরের পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে প্রথম মিনিটে গোল পেল ইউভেন্তুস। সেবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে গোল করেছিলেন দেল পিয়েরো।
আর ২০১৩ সালের এপ্রিলের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বের ম্যাচে দ্রুততম গোল এটি। সেবার ইউভেন্তুসের বিপক্ষেই বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ২৫ সেকেন্ডে গোল করেছিলেন ডাভিড আলাবা।
ত্রয়োদশ মিনিটে সমতায় ফিরতে পারত ভিয়ারিয়াল, কিন্তু বাঁধ সাধে দুর্ভাগ্য। আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার জিওভানি লো সেলসোর বাঁ পায়ের শট গোলরক্ষক ভয়চেখ স্ট্যাসনিকে পরাস্ত করলেও বল পোষ্টে লাগে। দুই মিনিট পর দানজুমার শট ফিরিয়ে জাল অক্ষত রাখেন স্ট্যাসনি।
ইউভেন্তুস প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আর সেভাবে সুযোগ তৈরি করতে পারেননি। ২৬তম মিনিটে ভ্লাহোভিচের পাস থেকে মানুয়েল লোকাতেল্লির শট উড়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে ভালো একটি সুযোগ পেয়ে যায় সফরকারীরা। ডান দিক থেকে হুয়ান কুয়াদরাদোর ডি-বক্সে বাড়ানো বলে আলভারো মোরাতার ভলি লক্ষ্যে থাকেনি।
উল্টো ৬৬তম মিনিটে সমতা টানে ভিয়ারিয়াল। সতীর্থের দারুণ ক্রস ডি-বক্সে পেয়ে প্রথম স্পর্শে বল জালে পাঠান স্প্যানিশ মিডফিল্ডার দানি পারেহো। নড়ার সুযোগ পাননি স্ট্যাসনি।
নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট বাকি থাকতে নায়ক হওয়ার সুযোগ এসেছিল ভ্লাহোভিচের সামনে। কিন্তু দূর থেকে তার নেওয়া শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান ভিয়ারিয়ালের আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক জেরোনিমো রুলি।