সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
গাড়ির ধাক্কায় আহত সত্তরোর্ধ ফুলু বিবি চিকিৎসা নিয়ে বাঁচতে চান। তিনি উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের প্যাকপাড়া গ্রামের মৃত কলিমউদ্দিনের স্ত্রী। স্বামীর মৃত্যুর পর বয়োবৃদ্ধা ফুলু বিবি অসহায় হয়ে পড়লে স্থানীয় ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় মাথাগোঁজার ঠাঁই পান বাঁশতলা (কলোনী) আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে। এখানে একমাত্র দিনমজুর পুত্র জাকির হোসেনকে নিয়ে বসবাস করে আসছেন। অভাব অনটনের করালগ্রাসে এখন বয়সেরভারে নুজ্ব্য হয়ে পড়েছেন। বয়সসীমা অতিক্রম হলেও আজোবধি পাননি বয়ষ্কভাতা কিংবা বিধবা ভাতা। খেয়ে না খেয়ে দিনমজুর পুত্রের সংসারে আছেন দীর্ঘদিন ধরে। সীমান্ত এলাকায় থাকায় দেখারও কেউ নেই তাঁর। চিকিৎসার অভাবে এমনিতেই শরীর ভেঙ্গে গেছে।
সম্প্রতি ফুলু বিবি ঘর থেকে বেরিয়ে রাস্তায় গেলে অজ্ঞাত এক গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠালে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁর উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন হলে টাকার অভাবে চিকিৎসা করানো হয়নি তাঁর।
উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের ৪,৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্যা বকুল আক্তার জানান, ফুলু বিবি আহত হয়ে পড়লে আমি স্থানীয় হাট-বাজার থেকে কিছু টাকা কালেকশন করে হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছি। এখন তাঁর উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন, কিন্তু টাকা পয়সার অভাবে কুঁড়েঘরে বিনা চিকিৎসায় তিনি মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন৷ তাঁর পুত্র দিনমজুর, তাঁরও ক্ষমতা নেই হতভাগিনি মায়ের উন্নত চিকিৎসা করানোর। আমি যতটুকু পেরেছি সহযোগিতা করেছি এবং সম্প্রতি তাঁর বয়ষ্কভাতার জন্য আবেদনও করিয়ে দিয়েছি। এই অসহায় বয়োবৃদ্ধার উন্নত চিকিৎসার জন্য আমি সমাজের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা চাই।অসহায় বৃদ্ধার পুত্র জাকির হোসেন (৪৫) কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, আমরা অসহায়। ভিটেমাটি কিছুই না থাকায় সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে মাথাগোঁজে আছি। দিনে রিক্স চালিয়ে যা পাই তাদিয়ে সংসারের খাবার যোগান দিতে পারছি না। আমার মা গাড়ির ধাক্কায় আহত হলে ইউপি সদস্য বকুল আক্তার এবং স্থানীয়দের সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে হাসাপাতালে চিকিৎসা করিয়েছি। মাকে বাঁচাতে হলে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। আমি সকলের কাছে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করছি। আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ করছি। প্রয়োজনে (বিকাশ ০১৭৭১৩৩৮৬৯৪), ইউপি সদস্য বকুল আক্তার