দোয়ারাবাজারের খাসিয়ামারা সেতুর নির্মাণ কাজ মাঝ পথে থমকে আছে

1693135253316.jpg

দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি :

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার খাসিমারা সেতুর নির্মাণ কাজ এখন মাঝ পথে এসে থমকে আছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন উপজেলার সুরমা ও লক্ষীপুর, এই দুই ইউনিয়নের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের একান্ত প্রচেষ্টায় বছর দুয়েক আগে খাসিয়ামারা সেতুর অনুমোদন হয়। এরপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মাধ্যমে ৫০০ মিটার চেইনেজে ৭৫ মিটার পিসি গার্ডারের এই সেতুর নির্মাণ বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৪ কোটি ২৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আলীপুর-টেংরাটিলা খেয়াঘাটে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে আনুষ্ঠিকভাবে খাসিয়ামারা সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন এমপি মানিক। তারপর কয়েক মাস সেতুর পিলারের নির্মাণ কাজ চললেও এখন একটানা প্রায় আট মাস ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। এতে দিন দিন জনদুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।

আলীপুর গ্রামের মৎস্যচাষী ও ০৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বলেন, ‘সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ার কারণে আমরা অনেক কষ্টে আছি। কৃষি পণ্য, মাছের খাদ্যসহ অন্যান্য মালামাল পরিবহন করতে বাড়তি টাকা ও সময় ব্যয় করতে হচ্ছে।’

একই গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ূন কবির বলেন, ‘সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এরআগেই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু ঠিকাদারের খামখেয়ালির কারণে সেতুর কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের মনে ভুল ধারণা জন্মাচ্ছে। দ্রুত খাসিয়ামারা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করার দাবি জানাই।’

নূরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান মুহম্মদ মশিউর রহমান বলেন, ‘সেতুর কাজ এখনো শেষ না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পারাপারের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে আসাযাওয়া করছে। এখন নদীতে প্রচুর স্রোত। বৃদ্ধ, শিশু, নারী ও অসুস্থ মানুষ এদিক দিয়ে খেয়া পারপার হতে ভয় পায়।’

খাসিয়ামারা সেতুর কাজ বন্ধ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার শংকর কুমার দেব বলেন, ‘ইচ্ছে করেই কাজ বন্ধ রেখেছি। এই সেতুর কাজে হাত দিয়ে আমার লোকসান গুণতে হচ্ছে। রড সিমেন্টের দাম বেড়ে গেছে তাছাড়া সড়ক পথে মালামাল পরিবহন ব্যয় বেশি। এসপ্তাহ নাগাদ নদীপথে মালামাল এনে তারপর সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করব।’

এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বলেন, ‘খাসিয়ামারা সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য ঠিকাদারের সাথে কথা বলেছি। এব্যাপারে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য মহোদয়ের সাথেও কথা হয়েছে। আশাকরি খুব শিঘ্রই কাজ শুরু হয়ে যাবে।’

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top